কবিদের একটাই পথ আর তা হচ্ছে কবিতা। ডান বা বামের বিভাজনে এই পথটাকে বিভাজিত করে তাকে বিতর্কিত করা নিঃসন্দেহে একটি ক্ষতিকর কাজ। কবি শাহীন রেজার ৬২ তম জন্মদিনের আয়োজনে উপস্থিত কবিবৃন্দ এমনটাই মন্তব্য করেন।
নগরীর কবিতা ক্যাফেতে কবি রেজাউদ্দিন স্টালিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজন উদ্বোধন করেন সত্তরের বিশিষ্ট কবি ও সম্পাদক মাহমুদ কামাল। বিশেষ আলোচক ছিলেন আবুল কাশেম চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, কবি হাসান হাফিজ এবং কবি মুজতবা আহমেদ মুরশেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি জাকির আবু জাফর। কবি ক্যামেলিয়া আহমেদের সঞ্চালনায় কবিকে নিয়ে আলোচনা, স্মৃতিচারণ এবং কবিতাপাঠে অংশগ্রহণ করেন কবি শহীদ আজাদ, কবি মামুন মোয়াজ্জেম, কবি তৌফিক জহুর, কবি আতিক হেলাল, কবি হরষিত বালা, কবি সৌমিত্র দেব, কবি শাহীন চৌধুরী, কবি রফিক হাসান, কবি ফরিদ ভূইয়া, কবি আশরাফ মির্জা, কবি আবদুর রাজ্জাক, কবি শাহীন রিজভী, কবি মাহমুদ নোমান, কবি ফৌজিয়া খন্দকার, কবি কবির হুমায়ুন, কবি আফিয়া রুবি, কবি জেবুন্নেছা মুনিয়া, কবি রীনা পন্ডিত, কবি রি হোসাইন, কবি সুলেখা আক্তার, কবি সারাফাত হোসেন, কবি রাজিয়া সুলতানা, কবি বাদল হাওলাদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান পলি রহমান, পথিক সবুজ, জোবায়ের সুমন এবং মেহেদী হাসান। মাহমুদ কামাল বলেন, কবিরা ঈশ্বরের বরপুত্র। তারাই সকল নিয়মকে পাল্টে দিতে পারেন। তিনি বলেন, শাহীন সময়ের কবিত্ব শক্তি। তার অগ্রযাত্রা রুখবে কে?
আবুল কাশেম চৌধুরী শাহীন রেজার যৌবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, তার সেই অমিত তারুণ্য এখনও উজ্জ্বল। কবিতায় শাহীনের অবস্থান নির্ণীত হয়ে গেছে। জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, শাহীন কবিতাকে শাষণ করতে পারেন, এই ক্ষমতা খুব কম জনেরই আছে। হাসান হাফিজ বলেন, কবিতায় তারাই অমর হন যারা কবিতাকে প্রনয়ের দড়িতে বাঁধতে পারেন। শাহীন পেরেছেন এবং এটাই তার অর্জন। মুজতবা আহমেদ মুরশিদ বলেন, শাহীন কবিতার আত্মাকে স্পর্শ করতে পেরেছে। বন্ধু হিসেবে আমরা এ জন্য গৌরব করতে পারি। রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, শাহীনকে প্রথমে আমরা প্রেমের কবি হিসেবেই জানতাম কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সে সেই পরিচয় থেকে বেরিয়ে এসেছে। আজ শাহীন সব সিঁড়ি ডিঙিয়ে বিধাতাতে নিমজ্জিত। এটাই একজন কবির পূর্নতা। আমি শাহীনের এই অর্জনকে স্যালুট জানাই।
বিকেল পাঁচটা থেকে রাত দশটা অবধি চলা এই আড্ডা কবিতাপাঠ ও আলোচনায় কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন কবি সৌমিত বসু।