দুই বাংলার মানুষের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মৈত্রী চেতনাকে বিকাশিত করে তাদের সৃজন ধারার পরিপূর্ণতা প্রদান ও দুই বাংলার মৈত্রী, প্রীতি, সৌহার্দ্য কে বজায় ও বিস্তৃতির লক্ষ্যে দুই বাংলার মিলন ঐকের ব্রতে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদ প্রতিষ্ঠিত। সভাপতি, সম্পাদক, কর্ম পরিষদের সকল সদস্যদের মিলিত ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও শুভ উদ্যোগে দুই বাংলার মানুষের মনের মনি কোঠায় প্রতিস্থাপিত ও ইতিহাসের অলিন্দে ভাস্বরিত করতে এবং সাহিত্য সংস্কৃতির ধারাকে নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রশান্ত করতে গঠিত হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদ নামক সেচ্ছাসেবী সংগঠন। উক্ত সংগঠনে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মহীতোষ গায়েনকে সহ-সভাপতি পদে মনোনীত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদের ২০২৩-২৫ সালের ২ বছর মেয়াদী নতুন কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড: এমদাদ হোসেন গত ১৬ অক্টোবর এক অনলাইন কনফারেন্সে নতুন কার্যকরী পরিষদের ৫১ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করেন। কার্যকরী পরিষদে বাংলাদেশের বৈশাখী নিউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম সভাপতি ও পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অশোক কুমার পাল সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়াও ৫১ জনের কার্যকরী পরিষদের সহ-সভাপতি পদে কলকাতা সিটি কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক ও ভাইস প্রিন্সিপাল ড. মহীতোষ গায়েনকে নির্বাচিত করা হয়। তিনি একজন লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সম্পাদক,গবেষক,প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, ফিচার লেখক। তিনি ৯০ দশক থেকে কবিতা, ছোট গল্প, রম্য রচনা,প্রবন্ধ লেখালেখির সাথে জড়িয়ে আছেন। তার লেখা প্রবন্ধ সাহিত্য কবিতা ওয়েব লেখা প্রায় পঞ্চাশোর্ধ জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন ম্যাগাজিন, ওয়েব ম্যাগাজিন, লিটল ম্যাগাজিন, সংবাদপত্রে নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে থাকে। তার লেখা কবিতার সংখ্যা প্রায় ৭০০। জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরে ৩৩ টির অধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। ১৩টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।এছাড়া তার সম্পাদনায় ৯টি গ্রন্থ ও জার্নাল প্রকাশিত হয়।তার স্বর্গীয় পিতা বিনোদ বিহারী একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি তার জীবদ্দশায় ৫২টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে তিনি দুই বাংলার জন্য হার্দিক অভিনন্দন আন্তরিক শুভেচ্ছা প্রাণ ভরা ভালবাসা মঙ্গলিক শুভকামনা জ্ঞাপন করেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি ও সমাজসেবার আদর্শ প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদ হয়ে উঠুক বিশ্ব মৈত্রী ও শিক্ষা সংস্কৃতির পীঠস্থান। এই অঙ্গীকার হয়ে উঠুক আমাদের দুই বাংলার মন ও মননে চিন্তা ও চেতনায় প্রতিস্থাপিত ও ভাস্বরিত।